লেখকঃ নাহিল মাহমুদ কাব্য
রাফির চোখ দিয়ে অজস্র পানি ঝরছে থামিয়ে রাখতে পারছে না রিয়া এমন করতে পারলো ওর সাথে ভাবতে লাগলো কিন্তু ওকে এখন হয়তো আরো কষ্ট পাওয়া লাগতে পারে তাই চোখের পানি মুছে নিজেকে শক্ত করে দরজা করা নারলো
নাইমঃ এমন সময় কে আসলো
রিয়াঃ এই কই যাছ
নাইমঃ দ্বারা মনে হয় অর্পিতা আসছে কাল ওকে বলছিলাম রাজি হয় নাই এখন মনে হয় আচ্ছে
রিয়া আর নাইম সম্পূর্ণ নঙ্গ অবস্থায়
রিয়াঃ তুই ওকে আসতে বলছিচ তো আমায় কেন আনছিচ আর এই অবস্থায় তুই কোথায় যাচ্ছিচ
নাইমঃ আর এ তুই শুধু একটু কাঁথাটা নিয়ে শুয়ে থাক আমি হাফ পান্টটা পরে ওকে ভিতরে নিয়ে আছি
রিয়াঃ ধূর ভাল লাগে না যতসব
নাইমঃ কে রে অর্পিতা
রাফি গলাটা একটু নরম করে ঃ হুমমম
নাইমঃ আসো আমার জান (দরজাটা খুলে)
দরজা খোলার সাথে সাথে ই রাফি নাইম দুজনের চোখ ই কপালে উঠে গেল
নাইমের অবস্থা যাতা ওর হাত পা কাঁপা শুরু করে দিল আর রাফি অবাক হলো ওকে এখন ও এই অবস্থায় দেখে
রাফিঃ কি ভাইয়া এখন ও জামা প্যান্ট পড়ো নাই
রাফির কন্ঠ রিয়া ভালো করে ই চেনে আর রিয়া রাফির কথা শুনে ই চমকে উঠলো..
রিয়ার শরীরে কিছু নেই সব ই নাইমের টেবিলে
নাইমঃ না না না মানে কি ভাইয়া আমি তো এভাবে ই ঘুমাইতে যাচ্ছিলাম আপনি হঠাৎ
রাফিঃ ঘরে হালকা লাল আলো জালানো কেন বাল্ব জ্বালাও
নাইমঃ ঘুঘুঘুঘু ঘুমের অসুবিধা হয়
রাফিঃ তোতলাচ্ছো কেন বাল্ব জ্বালাও
নাইমঃ মামামানে আপনি যাবেন না?? আব্ববববু তো কাল আসবে
রাফিঃ না আমি আঙ্কেলকে কল দিছিলাম আঙ্কেল আসতেছে
নাইমের নিঃশ্বাস ই অফ হয়ে যেতে লাগলো রিয়ার অবস্থাও করুন এমন অবস্থায় না পারছে কাঁথা সঁড়াতে না পারছে নিজেকে ঢেকে রাখতে ঘেমে উঠেছে রিয়া কিন্তু রাফির কথা অনুযায়ী রিয়া এটা বুঝতে পারছে রিয়া যে এখানে এটা হয়তো রাফি জানে না
নাইমঃ মামামামানে আআআআব্ববববু
রাফিঃ হুমমম আসতেছে ঘন্টা খানেকের মধ্যে ই চলে আসবে বাল্ব জ্বালাও আর নিজের পোশাক পরে নাও
রিয়া রাফির কথা শুনে শরীরের ভারসাম্য সব হারিয়ে ফেলেছে মনে হচ্ছে সমস্ত পৃথিবী নিস্তব হয়ে নিজে ইচ্ছা করে ও যেন নড়তে পারছে না আর কি করবে সেটা ও বুঝতে পারছে না
নাইমঃ ঘঘঘন্টা খানেক?? তাহলে আপনি পাশের রুমে গিয়ে বসেন??
রাফিঃ হুমম পাশের রুমে গিয়ে বসতেছি তার আগে তুমি এক গ্রাস্ল পানি দাওতো তৃষ্ণা লেগেছে আর তুমি ও মুখ ধুয়ে নাও ঘুমের মাঝে তোতলাচ্ছো দেখতেছি
রিয়া আর নাইমের প্রানে একটু যেন সস্তি আসলো রাফি পাশের রুমে গেলে ই রিয়া চলে যাবে
নাইমঃ গ্রাল্সটা কোথায় যে আপনে পাশের রুমে যান
রাফিঃ বাল্বটা জ্বালাও তাহলে দেখা যাবে গ্রাস্ল কোথায় আছে আর পানি খেয়ে এই ঘরে যায়
নাইম বাল্ব জ্বালালো আর রাফির নজর নাইমের টেবিলে গিয়ে পরলো আর নজর যেতে ই রাফির মাথায় ব্যাজ পরলো
নাইমের টেলিবে রিয়ার জামা পায়জামা আর ব্রা সব ই পরে আছে রিয়া এখানে আর জামা এখানে পরে মানে রিয়া এমনটা নিজের ই লজ্জা হতে লাগলো যে রাফি এতোদিন এমন একটা মেয়ের সাথে রিলেশন করতো এখন আর রাফির কনো সন্দেহ রইলো না সব ই ওর কাছে পরিষ্কার
এগুলো দেখে ও না দেখার ভান করে নিজেরে শক্ত করে নিলো রাফি কারন এর পর হয়তো ওকে আর ও কষ্ট পেতে হবে
রাফিঃ এই যে গ্রাস্ল
নাইমঃ দাঁড়ান আমি এনে দিচ্ছি এপনি আবার কেন
রাফিঃ good good very good
নাইম গ্রাস্লে পানি নিয়ে রাফিকে দিলো
রাফিঃ thanks for you আর তোমার টেবিল চেয়ার ওতো দূরে তাহলে আমি এই খাটে বসে ই পানিটা খেয়ে নি
নাইমঃ আআআ পাশের রুমে যেতেন
রাফিঃ এই রুমের দরজা তো অফ তুমি দরজা খোল আমি ততক্ষণে পানিটা খেয়ে নি (খাটে বসে পরে)
রাফিকে খাটে বসা দেখে রিয়ার দম বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করলো
নাইমঃ আআআচ্ছা
নাইম বার বার রাফির দিকে তাকাচ্ছে আর এই দরজার দিকে যাচ্ছে তাতারি করে দরজার তালা খুলতেছে
রাফি রিয়ার ফোনটা পকেট থেকে বের করে কাঁথার নিচে দিয়ে দিলো
নাইম এসে দেখলো রাফি পানি খাচ্ছে
রাফি পানিটা খেয়ে টেবিলের উপর রাখলো যেখানে নাইমের আর রিয়ার পোশাক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এতো ক্ষন ও নাইমের চোখে এগুলো পড়ে নাই এখন দেখে নাইমের নিজের চোখ ই কপালে উঠে গেল
কিন্তু রাফি কোন বিরুপ প্রভাব ই দেখালো না সাধারন মতো গ্রাস্লটা রেখে
রাফিঃ এ কি ছোট ভাই কাঁথা বালিশ এভাবে কেন আর ওটা কি কাঁথার মাঝে
রাফির এই কথা শুনে রিয়ার হৃদপিণ্ড স্তব্ধ হয়ে যেতে লাগলো শরীর ঠান্ডা হয়ে যেতে লাগলো
চলবে.........
Keywords:
ভালোবাসার গল্প কষ্টের, ভালোবাসার গল্প কবিতা, ভালোবাসার গল্প কথা, ভালোবাসার গল্প page, ভালোবাসার গল্প 2020, নতুন ভালোবাসার গল্প, বাংলা ভালোবাসার গল্প, সেরা ভালোবাসার গল্প, রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী, ভালোবাসার গল্প পড়তে চাই, ভালোবাসার গল্প ছবি, রোমান্টিক গল্পের লিংক, রোমান্টিক গল্প বিয়ে, রোমান্টিক লাভ স্টোরি গল্প, হঠাৎ বিয়ের রোমান্টিক গল্প, বিয়ের পর ভালোবাসার গল্প, রোমান্টিক প্রেমের গল্প ১৮+, খুনসুটি ভালবাসার গল্প, কাজিনের সাথে প্রেমের গল্প, বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প
Comments
Post a Comment