লেখকঃ নাহিল মাহমুদ কাব্য
পার্টঃ১
চোখের নোনা জল মুছতে মুছতে রাফি ঘর থেকে বের হয়ে আসলো, রাফির পিছু পিছু রিয়া ও বেরিয়ে আসে বেলকুনি থেকে ব্যাগটা নিয়ে রাফির পিছু পিছু ই যেতে লাগলো,রাফি তার বাইক নিয়ে রওনা দিলো, রিয়া রাফিকে ডাকার অনেক চেষ্টা করলো কিন্তু রিয়ার মুখ দিয়ে কোন কথা ই বের হলো না এখন নিয়ার কাজের জন্য রিয়া নিজেও ওর ভুলের ক্ষমা করতে পারছে না কিভাবে রাফিকে ডাক দিবে হাতটা উচু করার পর ও মুখ থেকে রাফি শব্দটা বের হলো না রাফির চলে যাওয়া দেখছে আর নিজেও হাটছপ এদিকে নাইম রিয়াকে বার বার ডেকে চলেছে কিন্তু শরীরে কোন পোশাক না থাকায় বাইরে যেতে পারছে না রিয়ার কানে আর কোন কথা ই যাচ্ছে না চোখ শুধু রাফির দূরে চলে যাওয়া দেখছে আর ওর পায়ের নিচ থেকে যেন মাটি শোরে যেতে লাগলো কিছুদির যেতে না যেতে রিয়ার মাথা ঘুরতে শুরু করলো হঠাৎ একটা গাড়ি এসে রিয়াকে ধাক্কা দায় রিয়া জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পরে যায় কিন্তু গাড়ির ধাক্কাতে রিয়ার অবস্থা ও খুব খারাপ রাস্তার পাশের লোকজন রিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে গেল
এদিকে রাফি ম্যাচে গিয়ে দরজা বন্ধ করে কান্না করতে শুরু করলো সন্ধা হয়ে গেল রাফি কেঁদেয় চলেছে এতদিনে রিয়ার সাথে সব সৃতি রাফির চখে ভেসে উঠছে আরো একটা জিনিস দেখে রাফি অবাক হচ্ছে এইখান থেকে রাফি চলে আসছে বিকালের আগে রিয়া তো ওকে একবার ও কল করলো না নাকি রিয়া নাইমের বাড়ি থেকে সেই সময় ও যায় নাই আর এখন তো সন্ধা এতো সময় তো রিয়া বাইরে থাকার মেয়ে না আবার ভাবছে থাকতে ও পারে আজ ও যা দেখলো কিন্তু রিয়া একবার ফোনতো করতে পারতো ও কি তাহলে আমাকে ভালো ই বাসে না এতো দিনের সব ই কি তাহলে নাটক ছিলো ওর রাফির বুক ভেঙ্গে কান্না আসছে হঠাৎ ওর রুমের দরজায় কে যেন লক করে চোখের পানি মুছে নিজেকে সামলে নিয়ে
রাফিঃ কে
রাতুলঃ আমি তুই ভিতরে?? দরজা খোল
রাফিঃ ওহ নাইম দারা (রাফি দরজা খুলে এসে আবার খাটে নিরাস হয়ে বসে)
রাতুলঃ কি রে মামমা এই যে গেলি বললি রিয়াকে নামিয়ে দিয়ে আসবি বিকালে ও আসছি না কখন আসছিস
রাফিঃ এই তো কিছু ক্ষন হলো
রাতুলঃ তা কি ওর বাসা পর্যন্ত গেছেলি নাকি
রাফিঃ হুমম
রাতুলঃ ওর বাসা পর্যন্ত কেউ দেখে নাই,নাকি ওর বাসা ফাকা ছিলো
রাফিঃ না মানে বাসা অব্দি না
রাতুলঃ বাসায় নাকি কোন হোটেলে গেছিলি তোকে দেখে তো এমন মনে হয় না তলে তলে এতো দূর তা এখন এতো হতাশ হয়ে বসে আসিছ যে ১ মিনিটে শেষ হয়ে গেছে নাকি?? চিন্তা করিস না প্রথম বার তো প্রথমবার ধরে রাখা যায় না আসতে আসতে ঠিক হয়ে যায় (হাসতে হাসতে)
রাফিঃ দেখ বাজে কথা বলিস না
রাতুলঃ ওরে বাবা রাগ হয়ে গেল আবার হতাশ ভিতরে পরে গেছে নাকি প্রটেকশন ছিলো না তোর কাছে বলতি আমায় আর টেনশন নিস না কাল পিন দিবো দিয়ে আসিছ
রাফিঃ তুই তোর মতো ভাবিস বুঝলি (ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে লাগলো)
রাতুলঃ তুই আর নাই ভালো তোর পাখি তো আর ভালো না
"সত্যি রে তোরা ই ঠিক আমি ই ভুল ওকে অনেক বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম এর জন্য ই বলে অন্ধ বিশ্বাস ভয়ংকর"(মনে মনে নিজেকে শান্তনা দিয়ে চলতে লাগলো আর ভাবতে লাগলো
"রিয়া যখন যা চেয়েছে দিয়েছি যা বলেছে করেছি ওর কোন কাজে বাধা দে নাই আর ও আমার সাথে সবটা ই নাটক করলো যদি বিন্দু পরিমাণ ভালো ও বাসতো আমাকে একবার হলে ও কল দিতো কারন ও আমাকে ভালো না বাসলে ও এটুকো জানে আমি কতটা ভালোবাসে সেই করুণাতে ও কল দিতে পারতো কাল যখন সবাই জানতে পারবে ও আমার কাছে নাইমের বাসায় ধরা খাইছে তখন সবাই আমাকে কি বলবে এমনিতে ই আমি রিয়াকে কিছু বলি না ওর কথা সব শুনি তাই কত কি বলে আর এর পর আমি আর এখানে থাকবো না চলে যাবো"
রাফির বাসা বগুড়া ও যশোর থেকে পড়া লেখা করতো সামনে মাসে ই ইন্জিনিয়ারিং ফাইনাল ইয়ার পরিক্ষা দিবে এখন বাসায় গেলে ও তো সমস্যায় পরতে হবে কি করা যা কিন্তু আমাকে আর এখানে থাকা যাবে না এসে শুধু পরিক্ষাটা দিবো
রাফি কখন ও রাতে বাইরে যায় না কিন্তু আজ রাত ২ টা বেজে গেল ও খেয়াল ই করে নাই হঠাৎ করে ই পকেটে ফোন বেজে উঠে রিয়ার মনে করে তাতারি করে ফোনটা বের করে কিন্তু না এটা রাতুলের ফোন
রাতুলঃ কিরে কই তুই আবার ও কি রিয়ার বাসায় গেছিস
রাফিঃ আরে আমি বাইরে আসতেছি
রাতুলঃ এখন বাজে কয়টা খেয়াল আছে তাতারি আই
রাফিঃ হো আসতেছি ফোন রাখ
রাফি চখের পানি আটকে রাখতে পারছে না কখনো ও এতোটা কষ্ট পাই না আস্তে আস্তে ম্যাচে গেলো রুমে ঢুকে
তুষার(রাফির আর এক ফ্রেন্ড)ঃ কি রে কই ছিলি
রাতুলঃ আরে রিয়ার বাসায় গেছিলো
রাফিঃ বাজে কথা রাখ আমি কাল বাড়িতে চলে যাবো এখানে পড়া হচ্ছে না বাসায় গিয়ে ভালো করে এই মাস পড়বো এসে পরিক্ষা দিবো
রাতুলঃ তুই তো সব সময় ই পড়িছ ভালো রেজাল্ট ই করবি কেচটা কি বল তো এখন কোথায় ছিলো নাকি এখন রিয়ার বাসায় গিয়ে ধরা খেয়ে আসলি যে চলে যাবি
রাফিঃ দেখ মজা না আমি সিরিয়াস কাল চলে যাবো তোরা ও ভালো করে পড়িস ঘুমা
সবাই ই শুয়ে পরলো কিন্তু রাফি দুই চোখের পাতা এক করতে পারলো না
চলবে......
বিঃদ্রঃ সিজন১ না পড়ে থাকলে পড়ে নিবেন
সিজন ২ আরো মজাদার হবে আশা করি
Comments
Post a Comment