প্রতারনা সিজন ২ পর্ব ৫

 লেখকঃ নাহিল মাহমুদ কাব্য

পার্টঃ ৫



সাফিয়াঃ আচ্ছা আমি যায় রে পরে আবার আসবো

রিয়াঃ সাবধানে যাস

"রাফি চলে গেল কেন আর বাড়িতে গিয়ে কি কিছু করে ফেললো ফোন ও বন্ধ, নাহ আমি কি ভাবছি এসব, ওর বাসার কোন নাম্বার ও তো আমার কাছে নেই কি যে করি আবার এমন কারো সাথে প্রেম করি যার বাড়ি ও চিনি না।চিন্তিত রিয়া এভাবে ই দিন কাটতে লাগলো কোন খোঁজ খবরল না পেয়ে আর অপেক্ষায় থাকলো কবে রাফি আবার আসবে।

অন্য দিকে রাফি তার কষ্ট একা থেকেো কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করলো.... 

এক মাস পরে...

রিয়ার অপেক্ষার অবসান ঘটলো আর রাফি কষ্ট কাটিয়ে পরিক্ষার প্রস্তুতি শেষে করে ফিরে আসে।ম্যাচে আসার পর রাফি শুধু ভাবতে লাগলো এতো দিনে মনে হয় সবাই সব কিছু জেনে গেছে আর এসব নিয়ে কথাপোকথন ও মনে হয় থেমে গেছে তার পর ও কেউ কিছু বলতে আসলে কি বলবো ভাবতে ভাবতে রুমে গেল, রুমে রাতুল আর শরিফ বসে ছিল --

রাতুলঃ কিরে কেমন আসিছ 

রাফিঃ আলহামদুলিল্লাহ তোরা

শরিফঃ আছি কোন মতো তোর ফোন এতো দিন বন্ধ ছিলো কেন,ফেচবুকে ও আসিছ না খুব পড়তেছিস

রাতুলঃ পড়া ছাড় রিয়ার খবর কি তুই কিছু জানিস 

কথাটা শুনার সাথে সাথে ই রাফির গলা শুকিয়ে যেতে লাগলো তাহলে কি ও যেটা ভেবেছিল সেটায় হয়েছে সবাই সব কিছু জেনে গেছে, কিন্তু কে বললো মনে হয় নাইম ই সব কিছু বলে  

রাতুলঃ কিরে কি ভাবিস

রাফিঃ কই কিছু না যা তো জার্নি করে এতো পথ আসলাম এখন ঘুমাবো

রাতুলঃ তুই রিয়াকে ভালোবাসিস 

রাফিঃ দেখ  এখন আমি ওর নিয়ে কিছু শুনতে চাচ্ছি না আমি পড়া লেখা নিয়ে ব্যাস্ত

রাতুলঃওওও, তোর কলিজার টুকরা মারা যাচ্ছিলো একবার দেখতে ও আসলি না

রাফিঃ কি বলিস কার কি হলো আবার 

রাতুলঃ রিয়ার সাথে তোর এতো দিন কোন  যোগাযোগ  হয় নাই

রাফিঃ নাহ

রাতুলঃ রিয়া তো এক্সিডেন্টে করছে

কথাটা শোনার সাথে সাথে রাফির মাথায় বাজ পরলো ও ভেবেছিলো হয়তো সবাই এই ব্যাপারে হাসাহাসি করবে কিন্তু এটা কি ওর এক্সিডেন্ট

রাফিঃ মানে কবে

রাতুলঃ শরিফ যা তো ওর সাথে আমার একটু পারশোনাল কথা আছে

শরিফঃ নাহ বল সমস্যা নেই আমরা আমরা ই তো

রাতুলঃ ওহে যেতে বলছি যা পাশের রুমে যা না হলে বাইরে যা 

শরিফ চলে যেতে লাগলো

রাফিঃ কেন থাকুক না কি হয়ছে,  কবে হলো

রাতুলঃ তুই যেদিন গেলি তার আগের দিন ই বলে

রাফিঃ কিভাবে হলো

রাতুলঃ আমি ও তো সেটায় বুঝলাম না

রাফিঃ মানে

রাতুলঃ তুই আর আমি না সেদিন নাইমের বাসা থেকে আসলাম তুই বললি যে তুই রিয়ার পৌঁছে দিয়ে আসতে যাবি ও নাকি তোর জন্য বসে ছিলো তার পর তুই নামিয়ো দিয়ে কত পরে আসলি

রাফিঃ হুমম 

নাইমঃ তুই কোথায় নামিয়ে আসছিলি

রাফিঃ ওর বাসার সামনে ই

নাইমঃ সেটায় তো বুঝলাম না আবার তুই ওকে এক্সিডেন্ট করায় ফেলে রেখে পলাইছিলি না তো

রাফিঃ কি যা তা বলছিস

রাতুলঃ সত্যি করে বল আমি কাওকে এ কথা বলি নাই আর তুই ও সেদিন খুব চিন্তিত ছিলি আর তারাহুরো করে পরের দিন চলে গেলি আর গিয়ে ফোন ও বন্ধ করে রাখলি

রাফিঃ মানে আমি কি করলাম

রাতুলঃ রিয়া অবস্য কিছু বলে নাই হয়তো তোকে ভালোবেসে তবে তোর উপর ই তো আমার সন্দেহ হচ্ছে

রাফিঃ কি যা তা বলসিছ আমার টেনশন হচ্ছে রিয়ার কিছু হয় নাই তো

রাতুলঃ না কিছু হয় নাই, তবে তুই ওকে নামিয়ে দিয়ে আসছিলি সত্যি??

রাফিঃ হুমম আমি তো ওকে নামিয়ে দিয়ে ই আসলাম

রাতুলঃ কিন্তু ক্যেচটা তো অন্য রকম কারন তুই বললি রিয়া বস ইস্টান্ডে আর তুই বাড়িতে নামিয়ে আসলি কিন্তু ও এক্সিডেন করলো বাস ইস্টান্ডের অনেক আগে ই রাতুলের বাসা থেকে একটু দূরে তাও কলেজ ড্রেস পড়া সবাই বলছে কলেজ থেকে ফেরার পথে সত্যি বলতো

রাফিঃ মামামানে  হয়তো আবার কলেজে যাচ্ছি কিছু আনতে 

রাতুলঃ কলেজ যাবে তো এপাশ দিয়ে যেত এই পাশ ঘুরে গেল কেন

রাফিঃ আবার হতে পারে নাইমের বাসায় যাচ্ছিলো 

রাতুলঃ ওওহ তুই এসব জানতি কিছু

রাফিঃ নাহ কিছু জানতাম না আর কিছু জানতে ও চাই না আমি পরিক্ষার চিন্তায় আছি। 

রাফি বুঝতে পারলো সেদিনের ঘটনা কেউ কিছু জানে না কিন্তুর রিয়ার কথা শুনে মনে খুব কষ্ট পাচ্ছে তবে এখন ওর নিজেকে শক্ত করে নিতে হবে। 

পরের দিন ই রিয়া রাফির ম্যাচের   


চলবে....

Comments