লেখকঃ নাহিল মাহমুদ কাব্য
পর্ব ৫
পারিঃ মানে কি যা তা বলছেন আপনি আমি সত্যি আপনাকে ভালোবেসে ফেলছি এসব বলে আমার ভালোবাসাকে দুরে সরিয়ে দিবেন না প্লিজ আর আমি বাবার এক মাএ মেয়ে আমি বললে বাবা ঠিক রাজি হবে
আমিঃ হবে না আমি মধ্যবিত্ব পরিবারের ছেলে কখন ও তোমার বাবা মেনে নিবে না আমায়
পরিঃ না নিলে আমি আপনার কাছে চলে আসবো পারবেন না আমার দায়িত্ব নিতে??
আমিঃ এটা কোন নাটক সিনেমা বা আমার লেখা গল্প না এটা বাস্তবতা আর বাস্তবতা অনেক নিষ্ঠুর আমাদের একটা ছোট বাড়ি তোমাদের মতো ওতো বড় না সেখানে তুমি থাকতে পারবা না আর আমার তো বাইক কেনার ও সামর্থ্য নেই এতো দামী গাড়ি কোথায় পাবো
হঠাৎ করে পাশে পরির দিকে তাকিয়ে দেখি পরি আমার পাশে নাই পাশে ই একটা ফলের দোকান থেকে ছুড়ি নিয়ে হাতে ধরে আমার দিকে এগিয়ে আসছে আমার সামনে এসে এর গলায় ছুড়ি ধরে
পরিঃ আমি কিছু জানিনা শুনতে ও চাই না আজ হয়তো তোমাকে আপন করে পাবো না হলে মৃত্যুকে আপন করে নিবো(চেচিয়ে)
আসপাশে অনেকে জরো হতে শুরু করলো সবাই তাকিয়ে রয়েছে আমাদের দিকে দেখলাম এখানে এতো মানুষের মাঝে ওকে বলে বোঝাতে পারবো না হেতে বিপরীত ও হতো পারে আর সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে মজা নিচ্ছে আমার সম্মান তো নেই ই বলতে গেলে কিন্তু ওর সাথে সাথে ওর বাবার সম্মানটা ও মাটিতে মিশিয়ে দিবে পাগলামি করে
আমিঃ কোথায় যাবে বললে চলো
পরি কাদে ফেলেছিলো আমার মুখে এ কথা শোনার পর ই কান্না থেমে মুখে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে চখের চল মুছে আমার দিকে দৌড়ে আসছে সম্ভবত জরিয়ে ধরতে পারে কিন্তু আমি তো আর ওর মতো পাগল না হাত দিয়ে বাধা দিলাম
আমিঃ It's a public place এমনিতে তোমার চেঁচানির জন্য লোক জরো হয়ে গেছে
পরি দুই হাত দিয়ে ওর কান ধরে হালকা একটু মাথা কাত করে "sorry আর হবে না"
আমিঃ কোথায় যাবে বললে চলো
পরিঃ এই মামা আসো তো(একটা রিকশা ওয়ালার দিকে হাত করে) রিকশা কাছে আসার পর
পরিঃ মামা যাবা
রিকশাওয়ালাঃ কোথায় যাবেন
পরিঃ অনেক জায়গা আজ সারা দিন ঘুরবো অনেক যায়গা যাবো যাবা
রিকশাওয়ালাঃ বিল কিন্তু হাজারের উপর দিতে হবে
পারিঃ তুমার যা লাগে দিবো আর দুপর আর সন্ধায় আমরা ই খাওয়াবো যাবা
ঃযাওয়ন যায় উঠেন তাহলে
পরিঃ দারাও তুমি এই হেডফোনটা কানে দাও আর গান শোন
ঃ হেডফোন কানে দিলে গাড়ীর হন শুনবো কিভাবে
পরিঃ আরে শুনবা আর তুমি ফালায় অভার দিয়ে যাবা দরকার হয় সব আমি ম্যানেচ করে নিবো
ঃ না এটা বারাবাড়ি হয়ে যায়
পারিঃ কিন্তু তুমি তো আমাদের কথা শুনে ফেলবে
ঃ আরে নাহ আস্তে আস্তে কথা বইলেন তাহলে আর শোনা যায় না রাস্তার গাড়ির আওয়াজে
আমি শুধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে এক বড়লোক বেটির নেকামি দেখতেছো সত্যি বলতে আমার ওকে ভালো ই লাগে ওর হাসিতে আমি যেন পাগল হয়ে যায় কিন্তু যখন থেকে জানতে পেড়েছি ওরা এতো ধনী তার পর থেকে ই কেন জানি ওর উপর আমার রাগ হচ্ছে
পরি রিকশায় উঠলো দেখি ই মনে হচ্ছে কখন ও সারি পরে নাই এটায় প্রথম মনে হয়
পরিঃ কি হলো আপনাকে সেই ক্লিনিক থেকে দেখছি অন্য মনোস্ক কোন সমস্যা কিছু বলবেন কোন কাজের তাড়া আছে
আমিঃ নাহ তেমন কিছু না (আমি উঠে বসলাম)
রিকশাওয়ালাঃ এখন কোন দিকে যাবেন
পরিঃ চলো যমুনা ফিউচার পার্কের চলো আগে কিছু শপিং করবো
রিকশাওয়ালাঃ এটা তো যাত্রাবাড়ি এতোদূর যাওয়া সম্ভব না গেলে ও সন্ধা হয়ে যাবে
পরিঃ আচ্ছা আশে পাশে কোন একটা ভালো শপিংমলে চলো
আমি পরির দিকে হা করে তাকিয়ে রয়েছি শুধু ওকে ই দেখছি না ওর এসব পাগলামি কথাগুলো শুনছি
পরিঃ এখন আপনি একটা নীল পাঞ্জাবি পরবেন
আমিঃ এখানে পাঞ্জাবী কোথায় পাবো
পরিঃ শপিংমলে কি রুপচর্চা করার জন্য যাচ্ছি??
আমিঃ টাকা আনে নাই তো ওতো
তাহলে ম্যাচে চলো আগে
পরিঃ এতো টাকা টাকা করেন কেন আমি কি আপনাকে জ্বিগায়ছি চুপ করে বসে থাকেন
আমিঃ ওওহ
পরিঃ না একটা গান বলেন
আমিঃ মানে
হঠাৎ করে ই রিকশা থেমে গেল
রিকশাওয়ালাঃ এখানে যাবেন
পরিঃ আচ্ছা তহলে তুমি এখানে ই দারাও আমরা আচ্ছি
আমি আর পরি ভিতরে গেলাম ও একটা নীল পান্জাবি পছন্দ করে দিলো আমাকে এটা পড়ে আসুন তো দেখি কেমন লাগে আমি কি করবে কিছু বুঝতে পারছি না এ কি বিপদে পড়লাম আমি কিছু না বলে বাদ্য ছেলের মতো পান্জাবী পরে বাইরে আসলাম পরি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে
আমিঃ কি এভাবে কি দেখেন
পরিঃ পাঞ্জাবী আপনাকে এতো সুন্দর লাগে জানতাম না তো হবে এখন এই জুতাটা পরেন
আমিঃ নাহ যা আছে এটায় থাক
পরওঃ ওকে ঠিক ই আছে আপনাকে কিন্তু দারুণ লাগছে এতোদিন তো গল্পে ক্রাশ খেতাম এখন আপনার উপর ও ক্রাশ খেয়ে গেলাম
চলবে.....
Comments
Post a Comment