Horror love Story part 2

 

লেখকঃ নাহিল মাহমুদ কাব্য


পর্ব ২



যেই মেয়ের দিকে এতোক্ষন তাকিয়ে ছিলো সে ওর রুমের ভিতর কিভাবে আসলো নাকি এটা মনের ভুল চোখে হাত দিয়ে চোখ মুছে তাকালো তাও তো সেই মেয়ে ওর সামনে দাড়িয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রয়েছে

দরজা ও তো বন্ধ করা তাহলে ঘরে  ঢুকলো কিভাবে নাহ আমি হয়তো সপ্ন দেখছি কিন্তু মেয়েটা তো কোন কথা বলছে না তাহলে আমার মনের ভুল(ভাবতে লাগলো)

নাহিল হাত বাড়িয়ে ছুয়ে দেখতে যাবে এমন সময় মেয়েটা ওর হাত ধরলো

মেয়েঃ কি সমস্যা হ্যা অভাবে তাকিয়ে ছিলেন কেন আর এসব কি আমি আপনার কে যে ধরতে যাচ্ছেন

নাহিলঃ ই য়ে মানে মানে মানে হয়েছি কি

মেয়েঃ মানে মানে আবার কি হুমম যা বলার খোলাসা করে বলেন

নাহিলঃ আপনি ভিতরে কিভাবে ঢুকলেন 

মেয়ে-কিভাবে আবার দরোজা দিয়ে

নাহিলঃ কিন্তু দরোজা তো বন্ধ 

- কোথায় বন্ধ এই যে খোলা

ঃখোলা কিভাবে হলো

-সেসব বাদ আর আপনি আমাকে ধরতে যাচ্ছিলেন কেন হা একা মেয়ে পেলে ই সুযোগ নিতে ইচ্ছা করে না 

ঃ নাহ আপনি যা ভাবছেন আমি এমন না

-সে তো দেখালাম ই কিভাবে তাকিয়ে ছিলেন সেটা দেখে ই পরিচয় পেয়ে গেছি

ঃইন্টেলিজেন,বাট আপনি একটা মেয়ে হয়ে আমার মতো একটা নিস্পাপ ছেলের ঘরে ঢুকে পরলেন মতলব কি আপনার

- ooH my foot, এটায় বলতে আসছি এই এপ্রয়মেন্টের দিকে আর তাকাবেন না,আর তাকালে খবর ভালো হবে না বলে দিলাম (চলে যেতে লাগলো) 

ঃএই মিস নামটা 

-রাস্কেল (আস্তে করে)

ঃ বাহ দারুণ নাম তো নামে ও তো ক্রাশ খেয়ে গেলাম, আমি জ্ঞান হারাবো মরেই যাবো বাঁচাতে পারবে না কেউ (খাটের উপর শুয়ে পরলো)আরে ধুর আবার ও দরজা নক না করে ই শুয়ে পরলাম এভাবে আজ মেয়ে ঢুকলো কাল চোর ও ঢুকতে পারে আমি না পুরোই পাগল হয়ে যাবো যায় নক করে দিয়ে আসি

দরজা নক করতে গিয়ে নাহিলের চোখ কপালে উঠে গেল দরজা তো আগে থেকেই নক কিন্তু মেয়েটা যে ভিতরে আসলো আর দরজা খুলে বাইরে যেতে তো আমি নিজে দেখলাম এখন এভাবে দরজা নক হলো কিভাবে, অনেক রাগে রাগে টান দিয়েছে তো মনে হয় এজন্য লক হয়ে গেছে।

সন্ধা হয়ে গেছে হঠাৎ করে ই মিষ্টি কন্ঠে খুব সুন্দর একটা গান ভেসে আসছে বেলকনিতে গিয়ে দেখে এই রাস্কেল রুম থেকে ই তো আসছে


আমার ও প্ররাণ ও যাহা চাই, 

তুমি তাই, তুমি তাই গো 

আমার ও প্ররাণ ও যাহা চাই.........

নাহিলঃ বাহ দারুন গাইতে পারে তো কত সুন্দর মিষ্টি কন্ঠ, মনে হয় সংগীত প্রিয় আমি কম নাকি গিটারটা নিয়ে শুরু করে দিবো মেয়েটা গান শুনে ই পাগল হয়ে, যাবে তাই ফোনটা নিয়ে মেনেজারকে কল দিলো

মেনেজারঃ how can i halp you sir

নাহিলঃ গিটার লাগবে

 মেনেজারঃ আমাদের তো এমন কোন সার্ভিস নেই স্যার তবে একবার এক কাস্টমার একটা গিটার ফেলে রেখে গেছিলো বেশ কছুদিন আগে আপনি চাইলে use করতে পারে

নাহিলঃ সমস্যা নেই পাঠিয়ে দিন 

কিছুক্ষন বাদে ই গিটার চলে আসলো এখন ও রাস্কেলের রুম থেকে মিষ্টি কন্ঠে সুন্দর গান ভেসে আসছে গিটারটা নিয়ে ঘরের মাঝে ই শুরু করে দিলো.... 

আঅাআআ আ আ আআআআ আআআআ হঠাৎ কেঁশে ফেললো(নাহ অনেক দিন গান বলি না এজন্য এটা হচ্ছে না সহজ কিছু গাইতে হবে আর এখান থেকে গেলে রাস্কেলের কানে নাও যেতে পারে বেলকুনিতে গিয়ে বসি)

বেলকুনিতে গিয়ে আবার ও নাহিল তার বেসুরো গলায় আর গিটারের বেসুরো বাজনায় শুরু করলো

যেতে যেতে পথে পূর্নিমা রাতে চাদ উঠেছিলো গগনে 

হায় হায়

 দেখা  হয়ে ছিলো তোমাতে আমাতে কি জানি কি মহা লগনে 

সালা চাদ উঠেছিলো গগনে বান*দ চাদ উঠেছিলো গগনে.......

পাশের রুমে তাহমিনা আর সহ্য করতে পারছে না তারাতাড়ি করে ছুটে বেলকুনিতে গিয়ে নাহিলের দিকে আঙ্গুল তুলেঃ এই এই রাস্কেল 

নাহিলঃ mr. নাহিল,নাহিল মাহমুদ কাব্য,  রাস্কেল তো  আপনার নাম

তাহমিনাঃ I'm তাহমিনা ok এভাবে চেঁচাচ্ছেন কেন 

নাহিলঃ কই গান গাচ্ছিলাম

তাহমিনাঃ ওয়াক থুথ এটা গান ছিহ আমি তো দেখলাম হেয় হেয় করে চেচিয়ে সবার মাথা খাচ্ছেন আর হাতে ওটা কি গিটার, ওটা কিভাবে বাজায় সেটা ও জানেন না যেভাবে বাজাচ্ছেন এভাবে তো মানুষ ঢোল ও বাজায় না 

নাহিলঃ It's my talent.

তাহমিনাঃ Talent, আর একবার যদি এইভাবে কাকের মতো কা কা করছে তাহলে আমি এসে এই কাকিলা কন্ঠের গলাটা ই টান দিয়ে ছিরে ফেলবো (ভিতরে চলে গেলো)

নাহিলঃ কি একটা দেশ কেউ কারোর প্রতিভার মূল্য দিতে জানে না কত সুন্দর গিটারের তালে তালে গান শুরু করেছিলাম, আসলো এসে কোথায় বেলকুনি বসে আমার দিয়ে তাকিয়ে এই সুন্দর সন্ধায় আমার গান শুনবে তা না যায় কি আর করার না গেলে তো আবার গলাটা ও নিয়ে যেতে পারে যে মেয়ে এক ধাক্কায় দরজা ই একায় লক হয়ে যায় 


চলবে.......

Comments