লেখকঃ নাহিল মাহমুদ কাব্য
পর্ব ৪
তাহমিনার সাথে এই অল্প সময়ে ই খুব ভালো একটা ফেন্ডশিপ তৈরি হয়ে গেল নাহিলের দুপর প্রায় হয়ে এসেছে ওরা একটা রেস্টুরেন্টে গেল আর দুইজনের খাবার অডার করলো
তাহমিনাঃ বিল যা আসে দুই জনের ৫০%
নাহিলঃ নাহ ম্যাডাম আমি তোমাকে খাওয়াচ্ছি তোনার এতো ই ইচ্ছা হলে তুমি খাওয়াও
তাহমিনাঃ ওহহ আচ্ছা
নাহিলঃ আচ্ছা একটা জিনিস দেখ
তাহমিনাঃ কিহ
নাহিলঃ রেস্টুরেন্টের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে
তাহমিনাঃ থাকবে ই তো
নাহিলঃ হুমম সেটায় সবাই হা করে তাকিয়ে দেখছে কত সুন্দর একটা ক্যাপোল, আমাদের অনেক সুন্দর মানিয়েছে এজন্য সবাই তাকিয়ে আছে
তাহমিনাঃ না স্যার আপনার ধারনাটা ভুল
নাহিলঃ তাহলে
তাহমিনাঃ সবাই একটা অদ্ভুত প্রাণিকে দেখতেছে
নাহিলঃ কোথায় সবাই তো এদিকে ই তাকিয়ে আছে দেখতেছি
তাহমিনাঃ হুমম বললাম ই তো সবাই ভাবতেছে এই অদ্ভুত প্রাণীটা কোথায় থেকে আসলো কোন চিরিয়াখানার থেকে ছাড়া পেল
নাহিলঃ ওওওহ আবার আমাকে অপমান করা হচ্ছে এসবের শোধ আমি তুলবো ই বলে দিলাম
তাহমিনা হাসতে শুরু করলো ওর হাসিতে যেন জাদু আছে সে এক অপূর্ব মায়াভরা হাসি। নাহিল হা করে তাকিয়ে আছে তাহমিনার দিকে কিন্তু তাহমিনা দেখতে এতো সুন্দর তার জন্য না হয় নাহিল তাকিয়ে আছে কিন্তু সবাই নাহিলের দিকে তাকিয়ে আছে লজ্জা লজ্জা লাগছে খুব হঠাৎ ভাবলো মুখে কিছু পড়ছে নাকি যে সবাই এভাবে তাকিয়ে রয়েছে পাশে ই একটা আইনা ছিলো দেখলো সব ই তো ঠিক আছে তাহলে সবাই কি এমন দেখতেছে বুঝে উঠতে পারলো না খাওয়া শেষে পাহাড়ি একা বাঁকা রাস্তা বেয়ে একটা ঝরনার পাশে গিয়ে দাড়ালো দুইজন তাহমিনা নিরবে দাঁড়িয়ে পাখি উড়ে যাওয়া দেখতেছে আর নাহিল তাহমিনা অপরুপ এই মায়াবী মুখটা
নাহিলঃ তুমি পাখি খুব ভালোবাসো না?
তাহমিনাঃ হঠাৎ এই কথা
নাহিলঃ নাহ এখানে আসার পর থেকে দেখতেছি শুধু এই পাখিগুলো ই দেখতেছো
তাহমিনাঃ ওওহ এইগুলো দেখতেছি আসলে ভাবতেছি কিভাবে ধরা যায়
নাহিলঃ হুমম বুঝতে পেরেছি তুমি ও আমার মতো পাখি প্রেমী খুব ইচ্ছা করছে না পাখি গুলোকে নিজের কাছে রাখতে
তাহমিনাঃ স্যরি স্যার ভুল হচ্ছে আপনার আমি এইগুলো কিভাবে সুন্দর করে পাকিয়ে খাওয়া যায় সেই চিন্তা করতেছি
তাহমিনার মুখে এই কথা শুনে নাহিল পুরো ই ভাবাচ্যাকা হয়ে গেলো এ কেমন মেয়েরে বাবা আমি আরো ভাবলাম পাখি প্রেমের কথা বলে পটাবো আর এটা কি হলো সালি এইগুলো খাওয়ার ধান্দা করতেছে তাহমিনার এসব ব্যবহার দেখে আতঙ্ক হলে ও মেয়েটা অনেক অদ্ভুত আর ভালো মনের মানুষ আমার সাথে কিভাবে একদিনে ই কত আপন হয়ে গেল আমি তো ওর প্রেমে ফিদা হয়ে যাচ্ছি আস্তে আস্তে
দিনটা ভালো ই কাটলো সন্ধায় কোয়ার্টারে ফিরে ২ কাপ কফি দিতে বললো ম্যানেজার কে
ম্যানেজারঃ স্যার ২ কাপ কেন
নাহিলঃ একটা আমার আর একটা পাশের আপুর তবে দুটো ই আমার রুমে পাঠায় দিয়েন
তাহমিনা আর নাহিল চা খেতে খেতে গল্প শুরু করলো কাল কোথায় কোথায় যাওয়া যায় ঠিক করলো কাল ওরা এই পাহাড়ের সব থেকে উপরে যাবে গল্প শেষে তাহমিনা ওর রুমে চলে যায় আর নাহিল ঘুমিয়ে পড়ে
পরের দিন ঘটলো উল্টো ঘটনা সাগর এসে হাজির আর এসে ই তাড়াহুড়ো করে ব্যাগ গোছাতে শুরু করলো
নাহিলঃ কি রে তুই
সাগরঃ কথা কম চল চলে যাবো
নাহিলঃ কিন্তু কেন
সাগর জামা উঁচু করে পিঠ দেখিয়ে বললো দেখ কি মার মারছে এতে আমার ভুত কি চলে যাবে আমাকে ই ভুত বানিয়ে ছাড়বে ওরা, সাগর আর নাহিল কথা বলছিলো হঠাৎ করে দরজায় কে যেন করা নারতে শুরু করলো নাহিল খুলতে যাবে
সাগরঃ খুলিস না ভাই ওরা খুজতে খুজতে এখানে চলে এসেছে
নাহিলঃ কারা
নাহিল জোর করে ই দরজা খুললো দেখলো তাহমিনা
তাহমিনাঃ কি যাবে না এনি কে
নাহিলঃ আসো ভিতরে আসো এটা আমার বন্ধু আমরা দুই জন আসছি ওর একটা সমস্যা আছে ভুতে ধরে তাই ও ওইখানে গেছিলো
তাহমিনাঃ কিহ ভুত হাহাহা এখন এ যুগে মানুষ ভুতে বিশ্বাস করে,আচ্ছা তাহলে আজ আমরা তিন জন যাবো ঘুরতে
নাহিলঃ নাহ এর নিয়ে কে যাবে সালা যে কেন আসলো আমার দিনটা ই মাটি করে দিলো (মনে মনে বলতেছে) হঠাৎ করে আবার কে যে কড়া নারতে শুরু করলো
সাগরঃ ভাই এবার আমি সিওর ওরা ই আসছে আমি যে এখানে তুই কিন্তু বলবি না আমি লুকাইলাম
নাহিল দরজা খুলে দেখে ৪ জন লোক বড় বড় দাঁড়ি, চুল দেখে মনে হচ্ছে বছর দশ গোসল ও করে না সাগরকে তারানোর সুযোগ চলে আসলো নাহিলের সাগরকে দেখিয়ে দিলো ওরা সাগরকে ধরে নিয়ে গেলে
তাহমিনাঃ এটা কি হলো আপনার বন্ধু বললো যে না দেখাতে আর আপনি দেখিয়ে দিলেন কেন
নাহিলঃআরে ওর সমস্যা আছে মাথায় আর ওর ভালোর জন্য ই ওকে দিয়ে দিলাম চলো আমরা যায় ঘুরে আছি
সেদিন ও এক ই ঘটনা ঘটে পথে রেষ্টুরেন্টে সবাই ই ওদের দিকে তাকিয়ে থাকে নাহিল কিছু ই বুঝে উঠতে পারে না দিন শেষে সান্ধায় সূর্যস্থের সময় নাহিল তাহমিনাকে প্রপোস করে
নাহিলঃ I love you
তাহমিনাঃwhat
নাহিলঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি
তাহমিনাঃ একটু একসাথে ঘুরলাম ফিরলাম আর ওমনি ভালোবেসে ফেললেন বাহ আপনারা সব ছেলেরা ই তো এক
নাহিলঃ আমার মনে হয় না তুমি আমাকে অপছন্দ করো, আমার তোমাকে ভালোলাগে ভালোবেসে ফেলেছি তাই মনের কথাটা বললাম এখন বাকিটা তোমার উপর
তাহমিনাঃ আচ্ছা আমাকে ভালোবাসার কারন বলো ভালো লাগলে একসেপ্ট করবো
নাহিলঃ কারন তোমাকে আমার অনেক ভালোলাগে
তাহমিনাঃ ওওহ তার মানে আমাকে দেখে ভালোবাসছো এ ভালোবাসা বেশিদিন থাকে না যে মনকে ভালোবাসতে পারে সেটা ই চিরকাল থাকে
নাহিলঃমনকে ও ভালোবাসি
তাহমিনাঃ ওওহ আচ্ছা তাহলে সেটার প্রমাণ না হয় পরে নিবে আর উওরটা ও কাল দিবো আজ না
দুজন ই কোয়ার্টারে ফিরে যার যার মতো রুমে চলে গেল নাহিলের আজ রাতে আর ঘুম আসলো না শুধু একটা ই প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে না জানি কাল তাহমিনা কি উওর দিবে। আর অপেক্ষা শেষ হলো পরের দিন সূর্যদয় দিয়ে সকাল হতে না হতে নাহিল উঠে ছুটে গেল তাহমিনার রুমের সামনে কিন্তু যা দেখলো নাহিল মটেও কল্পনা করে নাই গিয়ে দেখে তাহমিনার দরজায় তালা লাগানো গেল কোথায় আর বললো না কিছু এখন তালা দেখছি ছুটে ম্যানেজারের কাছে যায় নাহিল
নাহিলঃ আমার পাশের এপ্রইমেন্ট ২২ তাহমিনা ওনি কোথায়
ম্যানেজারঃ স্যরি স্যার কে
নাহিলঃ ২২ নাম্বার রুমে যে মেয়েটা ছিলো
ম্যানেজারঃ স্যার ভুল হচ্ছে কোথাও ২২ নাম্বার রুমে তো গত ৪ মাসে ও কেউ যায় নাই
চলবে.....
Comments
Post a Comment