Horror love Story part 1

 

লেখকঃ নাহিল মাহমুদ কাব্য


পর্ব ১



সাগরঃ দোস্ত বেড়াতে যাবি

নাহিলঃ কোথায়

সাগরঃ ভুতের এলাকাতে,শুনেছি ওইখানে ভুতের বসবাস পুরো এলাকা জুরে ভুত, আর সব থেকে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার ওইখানে ভুতগুলো কে নাকি দেখা ও যায় খুব ইনজয় হবে চল 

নাহিলঃ আরে থাম আমি ভুতে বিশ্বাস করি না যত সব রাবিশ আর আমার অফিস আছে বস তো ছুটি দিবে না

সাগরঃ আমি জানতাম তুই এই কথা ই বলবি আর এজন্য তোর ছুটি ও আমি ই নিছি 

নাহিলঃ মানে কি বলছিস

সাগরঃ বলছি নাহিলের জন্য মেয়ে দেখতে যেতে হবে সো এক সপ্তাহের ছুটি লাগবে ও তো বলতে পারছে না তাই আমাকে বলতে বলছে

নাহিলঃ মানে,  what the fac*

সাগরঃ মানে মানে বাদ full fac*ed আমরা যাচ্ছি

নাহিলঃ ওয়েট ওয়েট আমরা মানে কে কে

সাগরঃ আমি তুই আর আমাদের ফারিহা

নাহিলঃ ফারিহা মানে ফারিহা কেন আবার আমি যাবো না তাহলে এই গদ্ধবটা গেলে

সাগরঃ আরে বাবা আমি তো থাকবো না আমার একটা কাজ আছে আমি ৬ দিন ই বাইরে থাকবো তাই ও থাকলে তোকে সময় দিতো

নাহিলঃ থাকবি না মানে 

সাগরঃ ভাই বলবো বলবো করে তোকে বলা হয় নাই আমার আসলে মনে হচ্ছে আমার সাথে একটা ভুত আছে অনেক সময় দেখি আমার সামনে বসে থাকপ কিন্তএ কাওকে বলি নাই ওখানে এক গুরু আছে তার কাছে গেলে ই সব ঠিক হয়ে যাবে

নাহিলঃ যত সব রাবিস

সাগরঃ দোস্ত চল না Plasse 

নাহিলঃ আচ্ছা আচ্ছা যাবো বাট এই ফারিহা ক্যানসেল

সাগরঃ ও গেলে তো ভালো ই হতো তোকে সময় দিতো আর ও তোকে পছন্দ করে দুজন একটু আলাপ করতে পারতি

নাহিলঃ ওই তোরে বলছি না আমার মেয়ে মানুষে এলার্জি আছে সো গেলে ২ জন ই যাবো

সাগরঃ ওকে আজ রাত ১১ টায় আমরা রওনা দিচ্ছি

নাহিলঃ এতো রাতে, কাল সকালে যেতাম

সাগরঃ না রাতে রওনা দিবো তাহলে ভোর ৪ টার আগে আমাদের কোয়াটারে পৌছাবো তুই থাকবি আর আমি গুরুর কাছে যাবো ৬ টায় তাপস্য শুরু আর শেষ দিন দুজন ঘুরে বাসায় ফিরবো

নাহিলঃ done

সাগরঃ এখন ফারিহাকে কি বলবো

নাহিলঃ বলবি যাওয়া ক্যানশেল নাহিলের সত্যি ই বিয়ে ও চলে গেছে আমি কাল সকালে যাবো

সাগরঃ যদি মারা যায় তোর বিয়ের কথা শুনে??

নাহিলঃ গেলে গেল পিছু তো ছারলো Let's go celebrate 

সাগরঃ এখন ই না তো এখন ২ টা বাজে আজ অফিস পুরো করে তার পর ছুটি

নাহিলঃ কিহ ও মাই গড নো 

সাগরঃ ভাই অনেক চেষ্টা করছি বস আজ ছুটি দিলো না, কাল থেকে ছুটি শুরু


নাহিল আজ ৫ বছর চাকরি করছে বসের প্রিয় পাএ হওয়ায় ছুটি ও পাই না আর বেড়াতে ও যাওয়া হয় না অনেক দিন পর আজ ঘুরতে যাওয়া নিয়ে খুব এক্সাইটেড অফিসে মন না বসা শর্তে ও অফিসের কাজ শেষ করা ই লাগবে বসের আদেশ 

অফিস শেষে সাগর আর নাহিল দুজন ই বাসায় ফিরলো তখন ৯ টা অলরেডি বেজে গেছে এক ই বাসায় দুই জন থাকে ব্যাচেলার, কেও ই এখন ও বিয়ে করে নাই

সেই সুবাদেই দুজন ই দ্রুত রেডি হয়ে ১০ঃ৩০ বাসের উদ্দশ্যে রওনা দিলো বাসে উঠে ঢাকা থেকে সোজা চট্টগ্রাম পৌঁছালো ভোর ৪ঃ২০ পাহাড়ি এলাকা একটু একটু ঠান্ডা লাগছে


দুজন কোয়ার্টারে গিয়ে পৌঁছে সাগর ব্যাগ রেখে রওনা দিলো ভুত গুরুর কাছে আর নাহিল সারা রাত যার্নি করে এখন কান্ত শরীর নিয়ে আর বাইরে না গিয়ে বিছানা দিয়ে তার ভুতুড়ে ভ্রমণ শুরু করলো 

ঘুম ভাঙ্গে সন্ধার একটু আগে 


 কোয়ার্টারের ম্যানেজারকে কল করে রুমে এক কাপ কফি দিতে বলে

কিছুক্ষন বাদেই কফি এসে হাজির। নাহিল ভাবতে লাগলো পাহাড়ি এলাকাতে  সূর্যাস্ত দেখতে নাকি অনেক সুন্দর লাগে এজন্য কফির মগটা হাতে নিয়ে বেলকুনে গিয়ে বসে 

নাহিলঃ যাক সালার সাগরকে যতটা গাধা ভাবতাম ততটা ও না এতো সুন্দর একটা সূর্যাস্ত ওর জন্য ই দেখতে পেলাম (কফি খেতে খেতে নিজে নিজে ই বক বক করে চলছে)হঠাৎ করে ই নাহিলের চোখ পাশের বেলকনিতে গেল 

নাহিল হ্যা করে তাকিয়ে আছে এর আগে কখন ও এতো সুন্দর মেয়ে ও দেখি নাই চোখ ফেরাতে পারছে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো কারো চেহারায় এতো মায়া কিভাবে থাকতে পারে, নাহিল নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না হঠাৎ করে ই মেয়েটা ওর দিকে তাকালো

নাহিল একটু লজ্জাস্ত হয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলো কিন্তু মনকে আর মানাতে পারছে না ইচ্ছা করছে মেয়েটাকে চোখের সামনে বসিয়ে নিরবে এই শান্ত প্রকৃতিতে দেখতে। না দেখে যেন থাকতে পারছে না, তাই আর না ভেবে একটা অন্যরকম ভাব নিয়ে আবার বেলকুনির দিকে তাকালো কিন্তু মেয়েটা নেই

নাহিলঃ কি হলো এটা মেয়েটা কোথায় গেল তাকিয়ে থাকা দেখে খারাপ ভাবলো না তো আর গেলটা কোথায়,  ওও হো কোথায় আর যাবে হয়তো ঘরে ঢুকছে কি পাগলামি করছি আমি, নাহ হয়তো পাগল ই হয়ে গেছি কেউ এতো সুন্দর হতে পারে 😊 নাহ আর ভাবলে হবে না যায় ঘরে যায় আবার সকালে আসবো


রুমে ডুকে তো নাহিলের চোখটা আরো ছ্যানাবেড়া হয়ে গেল এ কিভাবে এখানে আসলো

যার দিকে এতোক্ষন তাকিয়ে ছিলো সে ওর রুমের ভিতর কিভাবে আসলো নাকি এটা মনের ভুল চোখে হাত দিয়ে চোখ মুছে তাকালো তাও তো সেই মেয়ে ওর সামনে দাড়িয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রয়েছে


চলবে....

Comments